Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing!
শিক্ষার্থীদের থেকে শুরু করে ছোট বড় সকলেরই সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ঘুমের মাধ্যমে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয় এবং মন ও শরীরকে করে তোলে প্রাণবন্ত ও সতেজ। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন রাতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
কিন্তু বর্তমানে অনেকেরই মোবাইল ফোনের আশক্তি এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঘুমাতে পারেন না। আর সঠিকভাবে না ঘুমানোর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে শারীরিক, মানসিক ও স্নায়ুবিক বিভিন্ন রোগ।
ঘুমের সমস্যা সাধারণত মাস খানেকের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়, তবে দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা আমাদের জীবনের নানা রকম প্রভাব ফেলতে পারে। এর কারণে মারাত্মক ক্লান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
আপনি যদি নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় ভোগেন তার মানে হচ্ছে. আপনার ইনসোমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা রয়েছে, ইনসোমনিয়া কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরও স্থায়ী হতে পারে।
রাতে ঠিক মতো না ঘুমালে সারাদিন ক্লান্তি এবং অস্বস্তিভাব থাকে অথবা ক্লান্তির জন্য দিনের বেলা কোন কাজে মন বসাতে পারছেন না। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে, আপনি আসলেই ইনসোমনিয়ায় ভুগছেন। তবে অনেকের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সবগুলো থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ইনস্টিটিউট এর তথ্য অনুযায়ী, ইনসমোনিয়া যদি তিন মাস বা এরকম সময় স্থায়ী হয় তাহলে তাকে বলে স্বল্পস্থায়ী ইনসোমনিয়া আর তিন মাসের বেশি স্থায়ী হলে সেটাকে বলা হয় দীর্ঘস্থায়ী ইনসোমনিয়া।
এদিকে বিভিন্ন মানুষের ঘুমের চাহিদাও ভিন্ন। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন ব্যক্তির দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের দরকার হয়।
আপনি যদি সারা দিনের ক্লান্তিতে ভুগতে থাকেন তার মানে হচ্ছে আপনি হয়তো পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছেন না। তবে অনেকেই রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছেন না বলে চিন্তিত হয়ে থাকতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রে কম ঘুমও স্বাভাবিক হতে পারে।
কারণ ব্রিটিশ দাতব্য প্রতিষ্ঠান ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্টের ইনসমোনিয়া নিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকের জন্য রাতে পাঁচ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট। আবার রাতের শিফটে যারা কাজ করেন বা যাদের ছোট বাচ্চা রয়েছেন তারা হয়তো রাতের বেলা খুব একটা ঘুমানোর সুযোগ পান না। তার মানে এ নয় যে তারা ইনসোমনিয়ায় ভোগছনে।
সাধারণত, এক রাত ঘুম না হলে পরের দিন ক্লান্তি বোধ করা ছাড়া এটি আমাদের খুব একটা প্রভাব ফেলে না। কিন্তু দীর্ঘদিনের নিদ্রাহীনতায় দ্বিধা, উদ্বেগ এবং বিষন্নতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই ঘুম নিয়ে চিন্তিত থাকলে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন।
ইনসোমনিয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ, উদ্বেগ কিংবা বিষন্নতা। সাধারণত ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে ইনসোমনিয়া দূর করা যায়। এর জন্য যা করতে পারেন তার মধ্যে হচ্ছে-
# প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে জেগে উঠুন।
# ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে থেকে বিশ্রাম নিন অথবা টুকিটাকি কাজ করতে পারেন। যেমন- গোসল করা, বই পড়া ইত্যাদি।
# ঘুমানোর আগে ঘর যাতে অন্ধকার এবং নিরিবিলি হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভারী পর্দা এবং ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে পারেন।
# ঘুমানোর আগে ঘর যাতে অন্ধকার এবং নিরিবিলি হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভারী পর্দা এবং ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে পারেন। # ঘুমানোর আগে ঘর যাতে অন্ধকার এবং নিরিবিলি হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভারী পর্দা এবং ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে পারেন।
Hi, this is a comment.
To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard.
Commenter avatars come from Gravatar.